রমজানের আগে খেজুর ও চিনির দাম নিয়ে ভোক্তাপর্যায়ে চরম অস্থিরতরার মধ্যে সুখবর দিতে চান জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
রোববার (১০ মার্চ) সকালে রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে সাধারণ জনগণের মাঝে ভোগ্যপণ্যসামগ্রী বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকালকের মধ্যেই জিহাদি খেজুরসহ অন্যান্য খেজুরের দাম মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে সমন্বয় করা হবে। এ ছাড়াও শিগগিরই চিনির দামও সমন্বয় করা হবে বলেও জানান তিনি।
রমজান মাসে বিত্তবানদের যে কোম্পানিগুলো আছে তাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সফিকুজ্জামান বলেন, রমজান উপলক্ষে সব বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনেক পণ্যের দাম কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিনির দামটা এখনো কমেনি তবে সেটি নিয়েও কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রমজানে খেজুরের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সুযোগে প্রতি বছরই বাড়িয়ে দেওয়া হয় পণ্যটির দাম। খুচরায় এক কেজি খেজুরের সর্বনিম্ন দাম ২০০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ টাকা। গত বছরের রমজানে এ দাম ছিল ১২০ ও ১ হাজার ২০০ টাকা। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় দাবাস, জাহিদি, বরই ও গলা খেজুর। গত রমজানের তুলনায় এগুলোর দাম বেড়েছে প্রায় ৪০-৬০ শতাংশ।
মন্তব্য করুন