হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনে অতিথিদের ওপর করারোপের প্রস্তাব দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
সংস্থাটি বলছে, সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অতিথি আপ্যায়নে হোটেল, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দেওয়া হলে অতিথি প্রতি ৫০ টাকা হারে অগ্রিম আয়করের প্রস্তাব দিয়েছে আইসিএমএবি।
আইসিএমএবি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে দেওয়া বাজেট প্রস্তাবে বলেছে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীতে ১০০ জনের বেশি অতিথি আপ্যায়নে হোটেল, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দেওয়ার পূর্বে অতিথি প্রতি ৫০ টাকা হারে অগ্রিম আয়কর আরোপের বিধান করা যেতে পারে।
প্রস্তাবের যুক্তি হিসেবে সংস্থাটি বলেছে, এই প্রক্রিয়ায় আয়কর নথি নেই, এমন করদাতাদের আয়করের আওতায় আনা সম্ভব হবে। ফলে কর আদায় বাড়বে।
আইসিএমএবির আরেকটি প্রস্তাব হলো- কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অথবা সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০–এর অধীন নিবন্ধিত ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের কোনো পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার আগে ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
এ ছাড়াও দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিক, যাদের আয়ের উৎস শুধু পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ, তাদের আয়কর রিটার্ন দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে আইসিএমএবি। যৌক্তিকতা হিসেবে তারা বলেছে, যাদের পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ একমাত্র আয়, তাদের রিটার্ন দাখিল করতে হলেও অতিরিক্ত আয়কর পরিশোধ করতে হয় না। কারণ, পেনশন সম্পূর্ণ করমুক্ত ও সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর যে টাকা উৎসে আয়কর কর্তন করা হয়, সেটাই চূড়ান্ত আয়কর। সে জন্য তারা বলছে, বয়স্ক করদাতাদের অহেতুক রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন