দেশে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রবেশ করছে এবং দেশ থেকে কী পরিমাণ বাইরে যাচ্ছে, তার প্রকৃত হিসাব মিলছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। তার মতে, অর্থ পরিশোধের ভারসাম্য বা লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতির কারণে রিজার্ভ কমছে। বিপিএম-৬ অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে সম্মেলনে এমন তথ্য দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কে ভার্মা উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদ হোসেন জানান, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মূলে বাহ্যিক কারণ। এই বাহ্যিক কারণ পরিমাপের প্রধান দিক হলো ডলারের দাম। তিনি বলেন, ২০২১ সালে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১০০ টাকার নিচে ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তা ১০০ টাকার উপরে চলে যায়। এখন কিছুটা কমে গেলেও তা ১১০ টাকার উপরেই আছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, সাধারণত এই হিসাব কখনো ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচক হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই এই হিসাবটি নেতিবাচক দেখা যাচ্ছে। এর মানে হলো, কিছু ঘটছে যা আমাদের জানার বাইরে।
মন্তব্য করুন