বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেটদের আইনের আওতায় আনতে হবে : ক্যাব

ক্যাবের লোগো। ছবি : সংগৃহীত
ক্যাবের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেটদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ক্যাব থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে ধারাবাহিকভাবে ভোজ্যতেলের দাম কমলেও, দেশের বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ভোজ্যতেল ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পাঁচ আগস্টের পর পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠা পুরোনো সিন্ডিকেট বর্তমানে সয়াবিন তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং অতিমুনাফা অর্জন করতে চাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকারের শুল্ক ছাড় ও ভ্যাট হ্রাসসহ বিভিন্ন নীতিসহায়তার থাকা সত্ত্বেও কিছু প্রভাবশালী কোম্পানি বাজারে তেলের সরবরাহ ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে। সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে, এরপরও সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেটরা আরও ৭ টাকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

বিশ্ববাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২২ সালে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১,৬৬৭ ডলার, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১,০২২ ডলারে। অথচ দেশে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বারবার। বর্তমানে নির্ধারিত দামেও বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১১ টাকা বেশি।

ক্যাবের মতে, দেশের ৪-৫টি বড় কোম্পানি মিলে সয়াবিন তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা সরকারের পূর্ববর্তী সময়েও একই কৌশলে ভোক্তাদের এখনো জিম্মি করেছে। এখনো তাঁরা একইভাবে অস্থিরতা সৃষ্ঠি করছে। সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে না পারলে সংকট আরও বাড়বে।

ক্যাব ভোক্তাদের স্বার্থে অবিলম্বে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, বাজার তদারকি জোরদার করা এবং সরকারের নীতিসহায়তার যথাযথ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রাণালয় দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলেও ব্যবসায়ীরা আরও দাম বাড়ানোর জন্য দামবৃদ্ধি ও আমদানি শুল্ক মওকুফের পরও বাজারে সরবরাহ বাড়ায়নি, যা সরকারের আইন ও নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল। ব্যবসায়ীদের এধরনের আচরণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ : অধ্যাপক ইউনূস

শাহবাগে অবরোধ, রাজুতে অনশন

ভোলায় পাওনা টাকা নিয়ে মারধরে ব্যবসায়ী নিহত

নারায়ণগঞ্জে আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক নসরুল কাদির

​পিএসএলে তৃতীয় ম্যাচেও স্বরূপে রিশাদ

চট্টগ্রামে নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

বাংলাদেশে হাজার কোটির রেল প্রকল্প কেন স্থগিত করল ভারত

ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে নতুন তথ্য দিলেন ভারতের সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা

কী এমন পণ্য যাতে ৩ হাজার শতাংশ শুল্ক বসাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

১০

এবার চট্টগ্রাম পলিটেকনিকের প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা

১১

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হাত মেলাচ্ছে চীন-ইরান!

১২

একদিনের মাথায় আবারো রেকর্ড সোনার দামে, কত বাড়ল 

১৩

কুমিল্লায় শিবির সভাপতি হত্যায় পুলিশসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৪

এলএনজি সরবরাহে অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি কাতারের

১৫

সমালোচনার মুখে ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন আমিনুল ইসলাম

১৬

ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১৭

এবার বিশ্ববাজারে সোনার দামের রেকর্ড 

১৮

আ.লীগের হামলায় বিএনপি নেতার কবজি বিচ্ছিন্ন

১৯

পারভেজ হত্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেপ্তার 

২০
X