আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে ব্যাংকটির সর্বময় ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসকের হাতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়েছে, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনার চরম দুর্বলতার কারণে ব্যাংকটি চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতির পাশাপাশি ব্যাংকটিতে বিপুল পরিমাণ শ্রেণিকৃত বিনিয়োগ, পুঞ্জিভূত লোকসান, অস্থির ব্যবস্থাপনা ও তারল্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এতে ব্যাংকিং সুশাসন ও শৃঙ্খলা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি আমানতকারীদের স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জনস্বার্থে পর্ষদ বাতিল করে, ইতোপূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক মো. মজিবুর রহমানকে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সকল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মজিবুর রহমানকে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে আল-বারাকা ব্যাংক নামে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ব্যাংকটি। ২০০৪ সালে ওরিয়ন গ্রুপ ব্যাংকটির মালিকানা নেওয়ার পর এর নাম পরিবর্তন করে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক রাখা হয়। পরবর্তীতে বড় ধরনের অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৬ সালে প্রশাসক বসায় এবং পুনর্গঠনের মাধ্যমে এর নাম পরিবর্তন করে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক করা হয়।
ব্যাংকটির মালিকানা তখন মালয়েশিয়াভিত্তিক আইসিবি গ্রুপের হাতে চলে যায়। ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন মালয়েশীয় নাগরিক শফিক বিন আব্দুল্লাহ। তার সময়েই নতুন করে জালিয়াতির তথ্য পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করে মালয়েশিয়া চলে যান।
বর্তমানে ব্যাংকটির সংস্কারে ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মন্তব্য করুন