বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে বেড়ে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশে ঠেকেছে। প্রথম প্রান্তিক তথা জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় প্রবৃদ্ধি তলানিতে গিয়ে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশে ঠেকেছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জিডিপির অক্টোবর-ডিসেম্বর তথা চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি তলানি থেকে কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশে এসেছে। প্রথম প্রান্তিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের জিডিপি তলানিতে গিয়ে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশে নামে। তবে গত বছরের একই সময়ে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের শুরুতেই জুলাই মাসে শুরু হওয়া আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এরপরই আগস্টের শেষের দিকে আবার পোশাক খাতের শ্রমিকদের অস্থিরতাও ছিল। সেটি কয়েক মাস অব্যাহত থাকায় অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে সর্বশেষ প্রান্তিকে অর্থনীতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
জিডিপির তথ্যে দেখা যায়, সর্বশেষ প্রান্তিকে দেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে শিল্প খাতে। সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি আগের প্রান্তিকের তুলনায় কিছুটা ভালো হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে দেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি এ সময়ে বেড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে তা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ ছিল। তবে গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি এ সময়ে সামান্য বেড়ে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে তা ছিল ২ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ। সে তুলনায় চলতি অর্থবছর দেশের সেবা খাতের পরিস্থিতি এখনো সুখকর পর্যায়ে আসেনি।
মন্তব্য করুন