অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থনীতিতে কোনো স্থবিরতা আসবে না। সবকিছু সচল থাকবে। উপদেষ্টা পরিষদের বেশির ভাগ সদস্য আমরা ঢাকায় থাকব।’
তিনি বলেন, ‘সব উপদেষ্টা ও বেশির ভাগ সচিব ঢাকাতেই থাকবেন। যেকোনো প্রয়োজনে আলোচনা হবে, দরকার হলে জুমে মিটিং করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দরকার হলে বন্ধের মধ্যে আমরা মিটিং করব। এটা আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। আর ছুটিতে যদি যাই-ও, দেশে থাকলে তো সমস্যা নেই, বিদেশে গেলে আমরা জুমের মাধ্যমে মিটিং করব। আমি বিশ্বব্যাংকে থাকতে জুমে অনেকগুলো মিটিং করেছি। এগুলো কোনো সমস্যা হবে না। কোনো স্থবিরতা তৈরি হবে না।’
টিসিবির পণ্য নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আজও চাল আনতে বলেছি। আমরা তো খুব সজাগ। আর টিসিবির মাধ্যমে একটা পক্ষকে তো আমরা এনশিওর করছি। আজ একটা প্রস্তাব আসছে আলু এত অতিরিক্ত, সেটা কীভাবে দেওয়া যায়। কিন্তু একটা সমস্যা আছে, বেশি দামে কিনে, স্বস্তা দামে দেওয়া ডিফিকাল্ট।’
ওয়ান/ইলেভেনের সময় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম একটা প্রোগ্রাম করেছিলেন ১০০ দিনের গ্যারান্টি কর্মসংস্থান। আপনারা এ ধরনের কোনো প্রকল্প নেবেন কি না?
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখি, আমরা এটা দেখব। তবে ১০০ দিনের প্রকল্পের থেকে ভালো হবে রেগুলার প্রকল্পের মাধ্যমে লোকাল বেজ কর্মসংস্থান।’
বৈঠকের বিষয়ে তিনি জানান, সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ১১টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন