ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, মোংলাবন্দরকে কেন্দ্র করে অনেক সম্ভাবনা দেখছেন তারা। বৈদ্যুতিক যান উৎপাদনে বিশ্বে আমরাই সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী। কাজেই আমরা কেন মোংলাবন্দরে বৈদ্যুতিক ও ব্যাটারি প্ল্যান্ট স্থাপন করব না? আইসিটি, সৌরবিদ্যুৎ ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণেও বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারবে চীন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মোংলাবন্দরের উন্নয়ন নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা মোংলাবন্দরের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছি। এই বন্দর ও পদ্মা সেতু কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। বাংলাদেশের পশ্চিম অংশের উন্নয়নের ভালো সুযোগ আমাদের কাছে আছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায় চীন। ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি নিয়ে বার্তা দিতেই আমি এখানে এসেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ ফল উৎপাদিত হয়। ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে সহায়তা করতে পারে চীন। কাজেই মোংলাবন্দরকে কেন্দ্র করে আমরা অনেক সম্ভাবনা দেখছি। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াও শিল্প ও তৈরি পোশাক খাতে চীন বিনিয়োগ করতে চায় বলেও জানিয়েছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা (চীন) যে ভূমিকা রাখছে, যেভাবে সহযোগিতা করছে, তা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। মোংলাবন্দরের আধুনিকায়নে তারা একটি প্রকল্প দিয়েছেন। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের শিল্পের ক্ষেত্রে তারা বিনিয়োগ করতে চায়। কৃষি শিল্প, তৈরি পোশাক খাতে তারা ভূমিকা রাখতে চায়।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিপিং লাইনে তাদের কাছ থেকে জাহাজ নিয়েছি। আরও চারটি চুক্তির পর্যায়ে আছে। এগুলো দ্রুত করার বিষয়ে কথা হয়েছে। যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মসৃণ হয়।
চীনের বিনিয়োগ কমে যাওয়ার প্রশ্নে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীনের বিনিয়োগ কমে গেছে, না বেড়ে গেছে তা বড় কথা না। কথা হচ্ছে, আমাদের প্রকল্পগুলো ঠিকমতো চলছে কিনা? আমরা দেখছি, চীনের যেখানে বিনিয়োগ আছে, সেখানে প্রকল্পগুলো ঠিকমতো চলছে। পৃথিবীর সংকটের মধ্যেও উন্নয়ন সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার।
মন্তব্য করুন