গত বছরের জুনের পর থেকে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি কমেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১১ কোটি ৬০ লাখ সক্রিয় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমেছে, যা ২০২৩ সালের মে মাসের পর সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুনে চার মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৯২ লাখ।
অপারেটরগুলোর অভিযোগ, ইন্টারনেট গ্রাহক কমার জন্য টানা মূল্যস্ফীতি এবং গত বছরের জুলাইয়ে সিমের ওপর কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দায়ী।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, 'মানুষ সুবিধা এবং এবং ভালো অফারের জন্য একাধিক সিম ব্যবহার করে। তবে মূল্যস্ফীতির চাপের কারণে মানুষ এখন আগের চেয়ে এতে কম খরচ করছে।'
কেউ যদি তিন মাসে অন্তত একবার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাহলে তাকে সক্রিয় মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাইমুর বলেন, গত বাজেটে সিমের ওপর ট্যাক্স ৫০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। তাই ছোট অপারেটররা সিমে ভর্তুকি কমাতে বাধ্য হয়েছে। ফলে তাদের নতুন সিম বিক্রি কমে গেছে।
তিনি বলেন, ‘নতুন সিম সাধারণত লাভজনক বিভিন্ন প্যাকেজের অফার দেয়। তাই অনেক ব্যবহারকারী সেগুলো বেছে নেয়, এর ফলে আগের সিমগুলো প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন সিমের দাম বাড়ায় এই প্রবণতায় ভাটা পড়েছে। ভোক্তারা খরচ কমানোর কারণেও অপারেটরদের রাজস্ব কমেছে।’
শুধু মোবাইল ইন্টারনেট সাব্যবহারকারীই নয়, সক্রিয় মোবাইল সংযোগের সংখ্যাও জানুয়ারিতে ২০ মাসের সর্বনিম্ন ১৮ কোটি ৬৫৯ লাখে নেমে এসেছে, যা গত বছরের জুনে ১৯ কোটি ৬২ লাখ ছিল।
তবে বিটিআরসির তথ্যমতে, জানুয়ারিতে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৪০ লাখে পৌঁছেছে। এক বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ।
জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড মিলিয়ে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি, যা গত জুনে ছিল ১৪ কোটি ২২লাখ।
মন্তব্য করুন