ভোজ্যতেল নিয়ে যারা দুষ্টামি করছে তাদের তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের একটি অংশ এখনো সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ভোজ্যতেল নিয়ে যারা দুষ্টামি করে বা ভোক্তার স্বার্থবিরোধী কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের সরবরাহে কিছু ব্যবসায়ী অসহযোগিতা করছে, যা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে পারে। এই সংকটের কারণ খুঁজতে বন্দর থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ৩টি কোম্পানিকে এরই মধ্যে শোকজ করা হয়েছে। তারা লিখিত জবাবও জমা দিয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে গতকাল ঢাকা মহানগরের কাওরানবাজারে ভোজ্যতেলের ওপর তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারকিতে প্রাপ্ত তথ্যউপাত্ত দিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, অধিদপ্তরের তদারকি দল দেখতে পেয়েছে, কিছু দোকানে দৃশ্যমান স্থানে ভোজ্যতেল প্রদর্শন করা হচ্ছে না। তেল নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাকে। কিন্তু তল্লাশিতে দোকানের গোপনীয় স্থানে বিপুল পরিমাণে ভোজ্যতেলের ৫ লিটারের বোতল মজুদ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে উৎপাদিত তেল, যা গত বছরের মে থেকে অক্টোবরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে- এমন ৫ লিটারের ৬ কার্টন সয়াবিন জব্দ করা হয়।
অধিদপ্তর বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে উৎপাদিত ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল যার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বা এমআরপি ৮১৮ টাকা। কিন্তু তদারকিতে দেখা গেছে, কিছু ব্যবসায়ী তা বিক্রি করছেন ৮৫০ থেকে ৮৫২ টাকায়। তাছাড়া কিছু ব্যবসায়ী তেল লুকিয়ে রেখে গোপনে বেশি দরে বিক্রি করছেন। বাজারে তেলের সংকট নেই। কিছু পাইকারি ও খুচরা অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় তেল লুকিয়ে রাখার কারণে বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন