জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সাবেক সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে যান। এরপরই একের পর এক পরিবর্তন হতে থাকে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে গড়ে তোলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অর্ধশতাধিক স্থাপনার নাম।
ভেঙে ফেলা হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি। সারা দেশে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার অসংখ্য ভাস্কর্য ও ম্যুরাল। যদিও এখনো দেশের সবকটি নোট ও স্মারক মুদ্রায় রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ বাজারে নতুন নোট ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫, ২০ ও ৫০ টাকার এসব নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
ছোট এসব নোটের পাশাপাশি বাজারে ছাড়া ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোটও বিদ্যমান ডিজাইনের বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন। পুরোনো ডিজাইনের নতুন নোট বাজারে ছাড়া নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুদ্রা বা নোট হলো দেশের মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। প্রতিমুহূর্তে বাজারে কোটি কোটি নোট হাতবদল হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের পর সবার আগে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণার প্রয়োজন ছিল। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাসহ সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কাছে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকার নোট কাগজে রূপান্তর হতো। তখন নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়া যেত। এর মাধ্যমে নোট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও বাদ পড়ত। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি না করে গণ-অভ্যুত্থানের সাত মাস পর বাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত নতুন নোট ছাড়তে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন