কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের সব লকার স্থগিত

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের মহানিরাপত্তা এলাকার কয়েন ভল্টে অর্থসম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার ফ্রিজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সন্দেহ করছে, এসব লকারে গোপনে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ মজুত রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ছাড়া অন্য কেউ ব্যাংকের লকার বা অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে পারে না। দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে আপাতত নতুন করে কোন লকার বরাদ্দ না দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে আগের লকারগুলো যাতে আপাতত খোলা না হয় সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সেফ ডিপোজিট (লকার) হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তাদের সম্পদ রাখতে পারেন। যেসব সম্পদ বাসায় রাখা ঝুঁকিপূর্ণ ডাকাতির ভয় আছে মূলত সেইসব সম্পদই সেফ ডিপোজিট হিসেবে সিলগালা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখা হয়। এই সংখ্যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের এক শতাংশেরও কম। কিন্তু একজন এসকে সুরের কারণে আমাদের এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।

দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে লকার ফ্রিজের অনুরোধ জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৩০ জানুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা এসব লকারের সম্পদ ফ্রিজের সম্মতি দেন।

দুদক গতকাল (সোমবার) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে লকার খোলা ও তালিকা তৈরির অনুমতির জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) আদালতের আদেশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দুদক লকার খোলার ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, দুদকের অনুসন্ধান দল সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। পরে তার লকার খুলে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারসহ ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়।

তল্লাশির সময় দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বেশকিছু লকার সিলগালা অবস্থায় রয়েছে। দুদক মনে করছে, এসব লকারে অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত চলছে।

দুদক বলেছে, লকার খুলে রক্ষিত সম্পদ যাতে কেউ সরিয়ে নিতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বন্দরকে মাফিয়া ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে : শাজাহান চৌধুরী

চিন্ময় দাশকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল

ভারতে নীল ছবির শুটিংস্পট থেকে বাংলাদেশি নারী গ্রেপ্তার

ফুল উৎসবের ‘গালা নাইট’ কনসার্ট, জেমসের অপেক্ষায় চট্টগ্রাম

মূকাভিনয় শিল্পের ভাষায় মানুষের কথাই বলে : মীর লোকমান

ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি : বাণিজ্য উপদেষ্টা 

ফাইনালে বরিশালের নতুন অস্ত্র—জিমি নিশাম!

লায়লাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু

আজ বাংলাদেশ-আলজেরিয়ার পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে এলো ১২৫ টন চাল

১০

মেঘনা নদীতে লঞ্চ থেকে ১০ মণ জাটকা জব্দ

১১

মুহূর্তেই শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

১২

মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্কারোপ করল চীন

১৩

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে : খন্দকার মোশাররফ

১৪

মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ নজরুল

১৫

বিপিএল ফাইনালের পরদিনই শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ক্যাম্প

১৬

মার্কিন ‌উসকানি সহ্য করবে না উত্তর কোরিয়া

১৭

এবার জানা গেল ববি ছাত্রশিবিরের সভাপতির নাম

১৮

এবার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ

১৯

সরিষাক্ষেতে মিলল নিখোঁজ শিশুর লাশ, গ্রেপ্তার ১

২০
X