তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির চুক্তি অন্তর্বর্তী সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা হেলেন মাসিয়াত প্রিয়তি। তিনি বলেছেন, যদি অন্তর্বর্তী সরকারের জায়গা থেকে চিন্তা করি, তাহলে এই চুক্তিটি আবশ্যক নয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি আয়োজিত ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি : সংকটময় সময়ের প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উন্নয়ন পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এলএনজি আমদানিতে ‘নন-বাইন্ডিং’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের আর্জেন্ট এলএনজি কোম্পানির সঙ্গে বছরে ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানির ওই চুক্তি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দেশের সঙ্গে সম্পাদিত সর্ববৃহৎ চুক্তি।
এ বিষয়ে বিডা চেয়ারম্যানের এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গবেষক প্রিয়তি।
তিনি বলেন, কাতার ও ওমানের বিল পরিশোধ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে! অথচ পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে বাপেক্সের খননকাজ স্থগিত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাতে বছরে ২৫ মিলিয়ন টন এলএনজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছে আর্জেন্ট এলএনজি কোম্পানি। ২০৩০ সাল থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পরে বিগত বছরের ৮ আগস্ট ড. মো. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের সার্বিক সংস্কার। তাই বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির চুক্তি করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না সিপিডির এই গবেষক। তার পরিবর্তে দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
মন্তব্য করুন