পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। পাশাপাশি বিশেষ তহবিলের আকার বৃদ্ধির সুপারিশও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরকৃত সাইফুল ইসলামের চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের শেষ থেকে আমাদের বাজারে দীর্ঘ মন্দা বিরাজ করছে, যার ফলে ইক্যুইটি বাজার মূলধন (প্রায় ৪০%, বা ২,৩০০ বিলিয়ন টাকা) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই মন্দা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (যেমন : ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ড) এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী, স্টক-ব্রোকার এবং অন্যান্য অংশীদারদেরসহ ২০ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীকে প্রভাবিত করেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এই তহবিলের আওতায় অনেক স্বনামধন্য তপশিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে যাদের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ৪০% থেকে ৬০% পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের তহবিল বন্ধ করলে পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হবে এবং বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এতে বলা হয়, বাজার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে, ওই বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এই তহবিলের আকার প্রতিটি তপশিলি ব্যাংকের জন্য অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করার জন্য আমরা গভর্নরের নিকট সুপারিশ করেছি। আশা করি পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে তিনি আমাদের সুপারিশ বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং বাজারের তারল্যপ্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তপশিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য একটি বিশেষ তহবিল প্রদানের নির্দেশনা জারি করে। এই বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তপশিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। যে তহবিলের মেয়াদ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে শেষ হতে চলেছে।
মন্তব্য করুন