দেশের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় কর্মসংস্থান ব্যাংকের মূলধন খুব বেশি না। এ জন্য তাদের কার্যক্রম খুব একটা চোখে পড়ে না। তবে ব্যাংকটি অদৃশ্যভাবে খুবই ভালো কাজ করছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংকের কর্মকাণ্ড এনজিওর কিছুটা মিল হয়েছে। কিন্তু এনজিওগুলো ঋণ বিতরণে ২০ শতাংশের মতো সুদ নিচ্ছে। সেখানে কর্মসংস্থান ব্যাংক নিচ্ছে মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ। এ জন্য ব্যাংক থেকে আরও বেশি সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংক সব ধরনের সহযোগিতা করবে এমন প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা প্রশংসনীয় যে, কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৩৬ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা, যারা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। নারীরা যত বেশি আর্থিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হবে, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে, শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ করবে, দেশও তত উন্নত হবে।
গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতে যে হারে খেলাপি ঋণ সে হিসেবে কর্মসংস্থান ব্যাংক খুবই ভালো অবস্থানে রয়েছে। দুই থেকে তিন শতাংশ খেলাপি ঋণ থাকতেই পারে। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এ ছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আরও বেশি কর্মঠ ও ডিজিটালাইজড হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ঋণ বিতরণে নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত বিশেষ ঋণ কর্মসূচি সঞ্চিতার শুভ উদ্বোধন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এর মাধ্যমে নতুন নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে। নারীরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখার ফলে তাদের আর্থিক ভিত্তি মজবুত হবে এবং স্বাধীনতা ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, এ ব্যাংকের ঋণ আদায়ের হার ৯৫ শতাংশ এবং কোনো প্রভিশন ঘাটতি নেই, যা অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পারফরমেন্সের তুলনায় অত্যন্ত সন্তোষজনক।
মন্তব্য করুন