বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। এর মধ্যে রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতসহ গাড়ি নির্মাণশিল্প, ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত, লজিসটিকস এবং নির্মাণশিল্প।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন।
বৈঠকে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি, বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগের সম্ভাবনা, হালাল খাদ্য সনদপ্রাপ্তি এবং একটি অর্থনৈতিক কমিশন গঠনের মতো বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন বলেন, ব্যবসা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও তুরস্কের সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করার ওপর জোর দেন।
এ ছাড়া তুরস্ককে বিশ্বের শীর্ষ হালাল খাদ্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের হালাল খাদ্য বাজার সম্প্রসারণে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হালাল সনদ অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তুরস্কের হালাল অ্যাক্রিডিটেশন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বাংলাদেশের জন্য হালাল সনদ অর্জন সহজ করে তুলবে।
হালাল খাদ্য রপ্তানি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সেবা, নির্মাণশিল্প এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তুরস্কের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত বলেন, বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাতের ওপর কেন্দ্রীভূত। তুরস্ক বাংলাদেশে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক রপ্তানি করে এবং বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে নয়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে বহুমুখী করতে চায়।
তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মুস্তাফা তাজকু ও বাণিজ্য সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন