দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। যা আজকেও এক লাখ ৩৬ হাজার ১৮৯ টাকা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে। এর আগে গত ১২ নভেম্বর ভরিতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫১৯ টাকা কমানো হয়েছিল।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৬১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯০ হাজার ২৩৩ টাকায় বিক্রি করা হবে।
সোনার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর সোনার দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ১৩ নভেম্বর কার্যকর হয়। ওই দামে এতোদিন সোনা কেনা-বেচা হয়েছে। সেই হিসাবে আজকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ১ লাখ ১১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯১ হাজার ৪১১ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে ডলারের মান শক্তিশালী হতে থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে কমতে শুরু করেছে সোনার দাম। প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি আউন্স (এক আউন্স = ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) সোনা বিক্রি হয় ২ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৯১ ডলারে। সোনার বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শতকরা হিসেবে সোনার দাম কমেছে দশমিক ৯ শতাংশ, যা দুই মাসে সর্বনিম্ন। গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর প্রথম এই দরে বিক্রি হলো মূল্যবান এই ধাতুটি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার পর্যবেক্ষণ সংস্থা কেসিএম ট্রেডের শীর্ষ বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটেরার রয়টার্সকে বলেন, সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং তার ফল ডলারের মানের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। সোনার দাম কমেছে ডলারের মান শক্তিশালী হওয়ায়। ডলারের মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বিটকয়েন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্যিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহারের পক্ষে ছিলেন।
মন্তব্য করুন