কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আদানিকে আরও ২ হাজার কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ

আদনি গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট, ঝাড়খন্ড। ছবি : সংগৃহীত
আদনি গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট, ঝাড়খন্ড। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আদানি গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আদানি গ্রুপকে আরও ২ হাজার কোটি টাকার (প্রায় ১৭৩ মিলিয়ন ডলার) অর্থায়ন করেছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আদানি পাওয়ার এ অর্থায়নের বিষয়ে একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) পেয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে বিদ্যুতের জন্য আদানি গ্রুপের কাছে পূর্বের বকেয়া রয়েছে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার, যা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে পরিশোধের বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে রোববার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৭ নভেম্বরের মধ্যে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে আদানি পাওয়ার।’ এমন পরিস্থিতিতে, বিদ্যুৎ সরবরাহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিপিডিবি নতুন এ এলসিটি ইস্যু করে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন এলসি বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংকে প্রদান করা হয়েছে, যা আদানি গ্রুপকে দেওয়া তৃতীয় এলসি। এ ছাড়া আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সমন্বিত ছিল না বলে দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি পাওয়ারের দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে এবং সম্পূর্ণ উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। এটি বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে।

এদিকে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে এবং এ দাবি পূরণ না হলে বন্ধ থাকা ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট পুনরায় চালু করবে না বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ ও তেলের জন্য অর্থ প্রদান চ্যালেঞ্জে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ এই বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির আওতায় প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়। তবে সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের ফলে এ অর্থ প্রদানে অসুবিধা হচ্ছে। আইএমএফের সঙ্গে পূর্বের ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ছাড়াও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে, যা এই সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে।

এর আগে বিদ্যুৎ বাবদ পাওনা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় আদানি গ্রুপ। তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হলে সুর নরম করে আদানি গ্রুপ। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বাবদ পাওনা পরিশোধের জন্য সময় বেঁধে দেওয়ার আলটিমেটামের বিষয়টিও অস্বীকার করে তারা। আদানি বলেছে যে ৮৫ কোটি ডলারের বকেয়ার পুরোটা তারা ৭ নভেম্বরের মধ্যে চায়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমতার সুযোগ দেখছেন মিরাজরা

আদালত চাইলে হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, আশা জামায়াত আমিরের

কেমন ছিল ট্রাম্পের বিবাহিত জীবন

অবকাঠামো উন্নয়নে পেশাজীবীদের যথাযথ সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করা জরুরি

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে : দুলু

এগিয়ে আনা হয়েছে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ

ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৬৬

যেসব লক্ষণে বুঝবেন লিভার ঠিকমতো কাজ করছে কি না

বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : রিজওয়ানা

সিলেটে যুবলীগ নেতা ইকবাল গ্রেপ্তার

১০

‘রাজনীতিতে এক নম্বর স্থানে যাওয়া জামায়াতের লক্ষ্য নয়’

১১

বিএনপির র‌্যালিতে বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের অংশগ্রহণ

১২

নিপসমের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১৩

নবীরা বলে-কয়ে অবসর নেন, সাকিবরা রয়ে যান সন্দেহের খাতায়

১৪

ট্রাম্পের এক ঘোষণায় বিপাকে ১০ লাখ ভারতীয়

১৫

ট্রাম্প জেতায় দেশ ছাড়ার ঘোষণা ইলন মাস্কের কন্যার

১৬

‘পরিচ্ছন্নকর্মীদের বেতন পকেটে ঢোকাতেন আ.লীগের কাউন্সিলররা’

১৭

হত্যা ও নাশকতার মামলায় আ.লীগ নেতা ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৮

১৫ বছরে রাষ্ট্রের সব অর্গান অপবিত্র হয়ে গিয়েছিল : গোলাম পরওয়ার

১৯

ছাত্রদল নেতার ঘর দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

২০
X