কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাল আমদানিতে শুল্ক মওকুফের সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের

ছবি : সংগৃহীত।
ছবি : সংগৃহীত।

চালের বাজার স্থিতিশীল করতে আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। শুল্ক কমানোর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ব্যবসায়ীদের আমদানিতে আগ্রহ না থাকায় মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এনবিআরকে এ সুপারিশ করে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান একেএম মকসুদুর আরেফীনের সই করা প্রতিবেদনে এই সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি বন্যায় চালের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই, বাজারে সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল করতে সুনির্দিষ্ট মেয়াদে চাল আমদানিতে বর্তমানে প্রযোজ্য শুল্ক প্রত্যাহার করা দরকার।

বর্তমানে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে স্থানীয় উৎপাদক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না উল্লেখ করে ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে চালের চাহিদা প্রায় ৩ দশমিক ৭ থেকে ৩ দশমিক ৯ কোটি টন। যার সিংহভাগ দেশেই উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে দেশে বর্তমানে গত এক মাসে সরু, মাঝারি ও মোটা চালের দাম যথাক্রমে শূন্য শতাংশ, ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও ১ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে তিন ধরনের চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে গত ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্যায় মোট দুদফায় ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন চালের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার গত ২০ অক্টোবর চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে এই শুল্ক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। তবে বর্তমানে ট্যারিফ বেশি হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানিতে আমদানিকারকরা আগ্রহী না হওয়ায় সাধারণ ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা ও চালের বাজার স্থিতিশীলকরণে চাল আমদানিতে আরোপিত সম্পূর্ণ শুল্ককর অব্যাহতি দেওয়া হলেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানি উৎসাহিত হবে বলে মনে করছে ট্যারিফ কমিশন।

বর্তমান শুল্ক (২৫ শতাংশ) কাঠামোতে চাল আমদানির সম্ভাবনা ক্ষীণ এবং তা দেশের বর্ধিত চাহিদাকে পূরণ করতে পারবে না বলেও মনে করে ট্যারিফ কমিশন। এক্ষেত্রে শুল্ককর না থাকলে থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত চালের দাম প্রতি কেজি ৬৬ টাকা এবং ভারত থেকে আমদানিকৃত চালের দাম ৫৪ টাকা পড়বে বলেও জানানো হয় ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতসহ অন্যান্য দেশে চালের দাম বাড়তি থাকায় আমদানি করা প্রতি কেজি চালের দাম পড়ছে প্রায় ৬৬ টাকা। এ দামে আমদানি করা হলে দেশের বাজারে চালের দাম আরও বেড়ে যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

রমজানের জন্য চিনি-ছোলা-তেল আমদানির অনুমতি

লক্ষ্মীপুরে জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা নিয়ে অসুস্থ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী

বান্দরবানে ভ্রমণের দুয়ার খুলছে

সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ৪ দিনের রিমান্ডে

ছোটবেলায় ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হোটেলটিই কিনে প্রতিশোধ ব্যবসায়ীর

যে কারণে বিব্রত প্রভা

মৃত্যুর সংবাদ মসজিদের মাইকে ঘোষণা করতে না দেওয়ায় মামলা 

এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মিজানুর রহমান আজহারীর স্ট্যাটাস

ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় সাকিবের বাবাকে গ্রেপ্তারের দাবি নাছিরের

১০

১০ মাসেও রেজাল্ট হয়নি রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের, কক্ষে তালা

১১

ঘুষ না দেওয়ায় ঋণ দেননি উজ্জল

১২

নতুন পরিচয়ে ফারিয়া 

১৩

বাংলাদেশকে রান পাহাড়ে চাপা দিয়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস ঘোষণা

১৪

দুদিন পর রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বাস চলাচল শুরু

১৫

২৫ বছর পর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন হচ্ছে

১৬

৮ জেলায় নতুন ডিসি

১৭

ড্রোন হামলার ভয়ে ছেলের বিয়ে পেছানোর পাঁয়তারা নেতানিয়াহুর

১৮

টঙ্গীতে ডিমের আড়তে অভিযান, ৬১ হাজার টাকা জরিমানা

১৯

টঙ্গীতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু, আটক ২

২০
X