কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঋণ পরিশোধ নিয়ে সুখবর দিলেন গভর্নর

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে কোনো অর্থ ব্যয় না করেই গত দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে। আর এর ফলে পণ্য আমদানিতে অনিশ্চয়তা কাটতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব দায় মেটানো শেষে আরও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে দেশের অর্থনীতি। বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা না করে, ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোই আমদানি করতে হয় বিভিন্ন উৎস থেকে। যার পেছনে সর্বশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয় প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া, বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু, গেল বছর দুয়েক ধরে ডলার সংকট শুরু হলে, সেই ব্যয় পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো।

তিনি বলেন, এই বাস্তবতায় আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারীসহ বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের উপরে। তবে, গেল দুই মাসে রিজার্ভে হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি অংশও মাস দুয়েকের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার আশা গভর্নরের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা আমরা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি। সারের জন্য প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্য দেওয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে দেওয়া হয়েছে। সবার দেনাটা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে দেনা জিরোতে নামিয়ে আনব। তখন বাজারে লিকুইডিটা আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, এসব বকেয়া পরিশোধের পর, চাপ কমবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। যা গতি বাড়াবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে। একই সঙ্গে, প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের।

কিন্তু, বর্তমানে ১০৩ বিলিয়নের বিদেশি ঋণ ও পরিশোধের ধারাবাহিক বাড়তি চাপে কিছুটা চিন্তিত গভর্নর। বলেন, অবস্থা সামাল দিতে ধৈর্য ধরতে হবে অন্তত এক বছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, যদি আমি আইএমএফ থেকে ২-৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত পাই, এর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আরও ২ বিলিয়ন পাই। তা হলে এই ৫ বিলিয়ন নিয়ে দুটো জিনিস করতে হবে। সরকার কিছু ব্যয় বাড়াতে পারবে, এতে করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা গতিশীল পাবে। এখনই লম্প-ঝম্প করলে হবে না যে আমার বিনিয়োগ নাই। এখন বিনিয়োগ হবে না, কম হবে, এটাই বাস্তবতা। এখন বিশ্বব্যাংক বলছে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়ত ৪ শতাংশে নেমে আসবে। হতে পারে, আমিও মনে করি ৪-৫ মধ্যে হয়ত হবে। হোক তাও সেটা একটা বছরই তো।

সূত্র : চ্যানেল ২৪

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণমাধ্যমগুলোতে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরদের  আধিপত্য রয়েছে : আবু হানিফ 

‘মানুষের মুখে মুখে এখন কালবেলা’

সরফরাজ-পান্তের ঝলকের পর ব্যাটিং ধস ভারতের

বর্তমান সরকারকে শক্তহাতে সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে : দুলু

যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হার্ট বাংলার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

প্রজ্ঞাপন জারিতে আলটিমেটাম ৩৫ প্রত্যাশীদের

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান / আহত পথশিশুদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

রাশিয়ার শস্য রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.৮ মিলিয়ন টন : রাষ্ট্রদূত

ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু

১০

বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে খায়রুল হক : কামাল

১১

বিএনপি নেতা অসীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি ভুক্তভোগীর

১২

আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি কর্নেল অলির

১৩

চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা কিং আলী ও ঝন্টু বহিষ্কার

১৪

রাজনৈতিক দলগুলোকে ঘর গোছানোর আহ্বান উপদেষ্টা শারমিনের

১৫

প্রাণ গ্রুপে চাকরির সুযোগ

১৬

পালিয়ে বিয়ে করেছেন ‘মা লো মা’ খ্যাত সাগর দেওয়ান

১৭

১৮৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে সন্ত্রাসী বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৩ প্রস্তাব দিল এলডিপি

১৯

আ.লীগ ১৭ বছরে দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল : মিনার

২০
X