মধ্যপ্রাচ্যে কার্যক্রম বর্ধিত করেছে ভ্রমণবিষয়ক বাংলাদেশি স্টার্টআপ ‘যাত্রী’। মধ্যপ্রাচ্যের গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে ‘সাফির’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছে প্ল্যাটফর্মটি। এই অঞ্চলের গ্রাহকদের একটি সমন্বিত ও পরিপূর্ণ পরিবহন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্যক্রম শুরু করেছে ‘সাফির’।
প্ল্যাটফর্মটিতে বাড়ি থেকে গন্তব্য পর্যন্ত পরিবহন, আবাসন এবং যাত্রাপথে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিগত সহায়তা পাবার সুযোগ রয়েছে। এজন্য জিসিসি অঞ্চলের পরিবহন সেবা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা অন্যতম প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান ‘এইলাগো’-এর সাথে সম্প্রতি যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ‘যাত্রী’।
এ বিষয়ে যাত্রীর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জিয়া উদ্দিন জানান, জিসিসি’ অঞ্চলের ৬টি দেশের জন্য অভিন্ন ভিসা নীতি প্রণয়নের যে পরিকল্পনা সংশ্লিষ্টদের রয়েছে, তা যাত্রীর জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ ধরণের ‘মাল্টিমোডাল’ ট্র্যাভেল প্ল্যাটফর্মের যেরকম সফল কার্যক্রম দেখা যায়, জিসিসিতে-ও রয়েছে তা বাস্তবায়নের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় সুযোগ। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী- ২০২৩ সালে জিসিসি অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতের ব্যয় ছিল ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
অন্যদিকে বহির্গামী পর্যটনের ব্যয় ৭০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০ মিলিয়ন গ্রাহককে ভ্রমণ সেবা প্রদান করার উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন ও অর্জনে এই অঞ্চলের পরিবহন অবকাঠামোকে আরও সুদৃঢ় ও সুসংগঠিত করতে গুরুতপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ‘যাত্রী’।
মন্তব্য করুন