ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র কমিটি কোনো দুর্নীতি ধরবে না, দুর্নীতির মাত্রা তুলে ধরবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশনে শ্বেতপত্র কমিটির প্রথম বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী সভা করবে। এ কমিটির কাজ মূলত অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা আনায়নের জন্য একটি অনুশীলন। আমাদের মূল কাজ বর্তমান অর্থনীতির অবস্থা ভিত্তি ঠিক করা।
এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, এটা দুর্নীতি ধরার কমিটি না, এই কমিটি কোথায় দুর্নীতি হয়েছে সেটা বলবে ও এ বিষয়ে পরামর্শ দিবে। দুর্নীতির মাত্রা এবং কেন হয়েছে সে বিষয়টি উঠে আসবে। যাতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়।
আমাদের কমিটি নতুন নীতিমালা তৈরিতে সহযোগিতা করবে উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ভবিষ্যতের রক্ষাকবচ হিসেবে এ কমিটি কাজ করবে। এ ছাড়াও এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে কিছু পরামর্শ থাকবে। নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কেমন হবে সে বিষয়টি আলোচনায় স্থান পাবে।
কমিটি মূল ৩টা বিষয়ে কাজ করবে জানিয়ে ড. ভট্টাচার্য বলেন, শ্বেতপত্র কমিটি মূল ৩টা বিষয়ে কাজ করবে। যেসব তথ্য উপাত্ত সরকারের পক্ষ থেকে সেগুলো বিশ্লেষণ, বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কোনো একটা বিষয় যদি প্রস্তুত হয়ে যায় তাহলে সময়ের আগেই প্রকাশ করা হবে।
এ অর্থনীতিবিদের মতে, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে আপাতত আমরা যাচ্ছি না, তবে এডিপি উন্নতির বিষয়ে পরামর্শ দেব। অপরদিকে মেগা প্রজেক্টগুলোতে নজর দেওয়া হবে ও এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
আগের সরকারকে মূল্যায়ন করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এই রিপোর্ট বিগত সরকারের আমলের মূল্যায়ন নয়। বরং বিগত সরকারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে।
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের দুর্নীতি ধরা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংক এবং আর্থিক খাত সংস্কার নিয়ে মূল্যায়ন করব না, তবে ব্যক্তি খাতের বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে। এজন্য যে ব্যাংকিং কমিশন করা হচ্ছে তারা করবে। এসব প্রতিষ্ঠানে যাতে সুযোগ্য লোকদের বসানো যায় সেটা আমাদের পক্ষ থেকে বলব।
এ কমিটি পুঁজি পাচারের বিষয়ে কাজ করবে জানিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পুজি পাচারের বিষয়ে আমরা কথা বলবো। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়েছে। এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া। পুঁজি পাচার খুঁজে পেলেও ওটার জন্য দেশে মামলা করতে হবে। পরে যে দেশে পুঁজি পাচার হয়েছে অই দেশের আইন অনুযায়ী আগাতে হবে। আর যাতে কেউ এই সুযোগ না পায় সেদিকে নজর দিতে হবে এবং যারা এই কাজ করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
মন্তব্য করুন