অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম বৈঠকে ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ২০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে অংশ নিয়ে এ মসুর ডাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে আলোচিত নাবিল নাবা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে মসুর ডাল গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়ক প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগে যে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে অনেক কিছু কেনা হতো, সেই ধারা অন্তর্বর্তী সরকারও অব্যাহত রাখবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
জানা গেছে, নাবিল নাবা থেকে কেনা মসুর ডাল সাশ্রয়ী দামে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করবে পণ্য বিক্রয়কারী সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মসুর ডাল থাকবে। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ৮৬ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের চেয়ে দাম একটু কমেছে। আগে প্রতি কেজির দাম পড়ত ১০২ টাকা ৫০ পয়সা।
নাবিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড। নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান জাহান বক্স মণ্ডল। নাবিল গ্রুপের বিরুদ্ধে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে বিপুল ঋণ নেওয়ার অভিযোগ আছে। যদিও নাবিল গ্রুপ বিভিন্ন সময় এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল গণমাধ্যমকে জানান, এস আলম গ্রুপের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছাড়া আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। দেশের সবচেয়ে বড় ডালের কারখানাটি আমাদের। আর ৬৫ শতাংশ ডালের আমদানিকারকও আমরা। তা ছাড়া উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজ পেয়েছি। সুতরাং প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।
জানা গেছে, মুশুর ডালের পাশাপাশি চাল ও ডিমেরও বড় সরবরাহকারী রাজশাহীভিত্তিক আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী নাবিল গ্রুপ।
মন্তব্য করুন