কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সন্দেহজনক লেনদেন হলেই অ্যাকাউন্ট জব্দ : বিএফআইইউ 

বিএফআইইউ- এর লোগো। ছবি : সংগৃহীত
বিএফআইইউ- এর লোগো। ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদরা চলমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে অর্থ সরানো ও অর্থ পাচার করতে না পারে এ জন্য সন্দেহজনক লেনদেন হলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিচিত বা স্বজনপ্রীতি করে ছাড় দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেশের সব রাষ্ট্রয়াত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর চিফ অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে এ সতর্ক বার্তা দেয় সংস্থাটি।

বৈঠক শেষে বিএফআইইউর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, দেশে এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতি চলছে। অসেক দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ, সন্ত্রাসী অর্থ সরানো ও অর্থ পাচারের চেষ্টা করবে। তাই এখন থেকে যেকোনো ধরনের লেনদেনে মানি লন্ড্রারিংয়ের সব নিয়মনীতি শতভাগ পরিপালন করতে হবে। কোনো লেনদেন সন্দেহজনক হলেও জানাতে হবে। কোনো প্রকার পরিচিত, স্বজনপ্রীতি করে ছাড় দেওয়া যাবে না- যদি কেউ ছাড় দেয় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।

বৈঠকে বলা হয়, যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক লেনদেন হলে সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম (এসএআর) প্রতিবেদন দিতে হবে। এসটিআর বা এসএআর অনুযায়ী প্রয়োজন মনে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা জব্দ করা হবে।

সাধারণত সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের নির্দেশনা দিয়ে থাকে বিএফআইইউ। তবে বিএফআইইউ-প্রধান না থাকায় সার্কুলার জারি করা সম্ভব হয়নি। এর আগে বুধবার সকালে স্বেচ্ছাচারিতা এবং অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তোপের মুখে বিএফআইইউয়ের প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চার ডেপুটির্নর এবং একজন উপদেষ্টা ব্যাংক থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। এ ছাড়া হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বাংলাদেশ ব্যাংকে আসছে না। অনেকে বলছেন দেশ থেকে পালাতে তিনি অনেক মহলে দেনদরবার করে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, অনেক দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা দুর্নীতির টাকা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সরকার পতনের পর বুধবার ইসলামী ব্যাংক তাদের একটি প্রতিষ্ঠানের ৫৪৮ কোটি টাকা তোলার চেক প্রত্যাখ্যান করেছে। জানা গেছে, টপ টেন ট্রেডিং কোম্পানির ইস্যু করা এই চেকটি এসেছিল চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখায়। কোম্পানিটি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য যে নম্বরটি দিয়ে রেখেছিল তা বন্ধ পাওয়া গেছে। দেশব্যাপী অস্থিরতার মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের এই চেষ্টা সন্দেহজনক হওয়ায় টাকা উত্তোলনের ওই চেক প্রত্যাখ্যান করেছে ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইবিতে চুরির অভিযোগে আটক ২

ঢাকা পলিটেকনিক-বুটেক্সের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ২৮ জন ঢামেকে

নারায়ণগঞ্জে ধানক্ষেতে পড়েছিল অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ

খানসামা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন

সোমবার বন্ধ থাকবে ঢাকা কলেজ

ঢাকা পলিটেকনিক ও বুটেক্সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

বগুড়ায় জাপার সাবেক এমপিসহ আ.লীগের ১৬৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটে বাসদের মিছিল-সমাবেশ

তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ : নয়ন

৩০ লাখ টাকা ছিনতাই করতে ছুরিকাঘাত, আটক ১

১০

সচিব পদমর্যাদায় নিয়োগ পেলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ

১১

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণা

১২

‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশ্চিমা সংস্কৃতি দূর করতে হবে’

১৩

পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

১৪

ব্রিটিশ বাজারে ‘গাজা কোলার’ বাজিমাত

১৫

ইহুদি তরুণদের মধ্যে বাড়ছে গাজায় হামলাবিরোধী মনোভাব

১৬

টাকা না দিলেই গায়ে সাপ ছেড়ে দেওয়ার হুঁমকি

১৭

খুলনায় তিন শতাধিক ব্যক্তির নামে মামলা, জানে না বাদী

১৮

অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শুরু

১৯

মাদক সংশ্লিষ্ট কাউকে ধরিয়ে দিলেই ৫ হাজার টাকা পুরস্কার

২০
X