খুলনার বহুল আলোচিত রহিমা বেগম নিখোঁজের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতেই রহিমা বেগমের নিখোঁজ নাটক সাজানো হয়েছিল। অনেক আগে থেকেই নাটক সাজিয়ে ছিলেন তারই মেয়ে মরিয়ম মান্নান। এমনকি নিরাপদে সরে পরতে রহিমা বেগমকে দেওয়া হয়েছিল এক হাজার টাকাও।
তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই বলছে, ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট রাতে মহেশ্বরপাশা বনিক পাড়া থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজের কথা বলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র অপহরণের অভিযোগ এনে তারই ছেলে মিরাজ আল সাদী একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আর রহিমাকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন মেয়ে আদুরি আক্তার।
এদিকে রহিমা অপহরণের ঘটনার পর থেকে তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান গোটা দেশ তোলপাড় করে ফেলেন। ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। গোটা বিষয়টি মরিয়ম মান্নান কর্তৃক পরিকল্পিত ও নাটকের মাধ্যমে দেশবাসীর সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। একপর্যায়ে সফলও হন। তবে শেষ পর্যন্ত পুরো ঘটনা তদন্ত করে পিবিআই যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাতে থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। মরিয়ম মান্নান তার মাকে নিয়ে নাটক করেছে বলে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট রাতে মহেশ্বরপাশা বনিক পাড়া থেকে নিখোঁজের পর একই বছর পুলিশ ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমাকে উদ্ধার করে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে তিনি তার মেয়ে আদুরি আক্তারের জিম্মায় একটি ভাড়া করা বাসায় রয়েছেন।
খুলনার পিবিআই’র পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানিয়েছেন, রহিমা বেগম অপহরণ মামলার পুরো বিষয়টি তদন্ত করে অনুমোদনের জন্য পিবিআই’র প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এটি অনুমোদন হয়ে আসলেই আদালতে জমা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে মরিয়ম মান্নান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, আপনারা তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন। তিনিই ভালো বলতে পারবেন তদন্তে কি পেয়েছেন।