অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিয়েছেন আইনজীবীরা। ফলে দীর্ঘ সময়ের জটিলতার অবসান হয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রাণ ফিরেছে আদালত অঙ্গনে। নারী ও শিশু-১ আদালতের বিচারক মো. ফারুক ছুটিতে থাকায় বর্জনের আওতায় থাকা ওই আদালতের কার্যক্রমেও অংশ নিয়েছেন আইনজীবীরা। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২২টি আদালতের বিচারিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একইসঙ্গে জেলা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়ালও চিরচেনা রূপ ফিরে পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিচারাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান চৌধুরী কানন জানান, আদালতের অচলাবস্থা নিরসনে গত রোববার ১২ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারোয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আইনজীবীদের বৈঠক হয়। সেখানে তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিশেষ সাধারণ সভা করে নারী ও শিশু-১ আদালতের বিচারক মো. ফারুক ছুটিতে না যাওয়া পর্যন্ত ওই আদালত ব্যতীত সব আদালতের ওপর থেকে বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু-১ আদালত এর বিচারক ছুটিতে চলে যাওয়ায় সে আদালতের দায়িত্ব পালন করছেন নারী ও শিশু-৩ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম। আর সেক্ষেত্রে আইনজীবীদের কোনো সমস্যা না থাকায় তারা নারী ও শিশু-৩ আদালতেই নারী ও শিশু-১ আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নেওয়া শুরু করেছেন।