রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের বার্থা গ্রামের গৃহবধূ বিউটি বেগম হত্যা মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে পাগলের ছদ্মবেশ ধরেছিলেন আব্দুল লতিফ কাজী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
গত ২৩ মার্চ রাতে কুষ্টিয়া রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী থানা পুলিশ। লতিফ ও বিউটি দম্পতির পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক মেয়ে ও চার বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
তাদের মেয়ে মীম জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে খাবার খেয়ে তার বাবা, মা ও ছোট ভাই এক ঘরে শোয়। সে ছিল অন্য ঘরে। রাত ২টার দিকে সে মায়ের চিৎকার শুনে ওঠে পাশের রুমে গিয়ে বাবাকে দেখে চাপাতি দিয়ে মাকে কোপাতে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে লতিফ পালিয়ে যান।
বিউটির বাবা বিল্লাল মোল্লা জানান, লতিফ ব্যবসা করেন। সংসারে সামান্য কথাকাটাকাটি হলেই বিউটিকে মারধর করতেন। মেয়ে হত্যার পরের দিন তিনি থানায় মামলা করেন। মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচার চান তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর থানার এসআই মো. আবুল হোসেন বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর লতিফ পাগলের ছদ্মবেশ ধরে কুষ্টিয়া রেলস্টেশন থাকতেন। ওই এলাকায় মাঝেমধ্যে রাজমিস্ত্রীর সহযোগীর কাজও করতেন। কৌশল অবলম্বন করে তিনি সেখানে কোনো ঘর বা বাসা ভাড়া নেননি। দিন-রাত স্টেশনেই থাকতেন। সোর্সের মাধ্যমে তার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।