গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১১:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তিস্তা সেতুর ৪০ ভাগ কাজ শেষ, খুলতে যাচ্ছে সম্ভাবনার দুয়ার

তিস্তা সেতুর ৪০ ভাগ কাজ শেষ, খুলতে যাচ্ছে সম্ভাবনার দুয়ার

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নির্মিত হচ্ছে ১ দশমিক ৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তিস্তা সেতু। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, চিলমারী থেকে সড়কপথে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে প্রায় ১০০ কিলোমিটার। দূরত্ব কমবে বিভাগীয় শহর রংপুরেরও। এতে বাঁচবে সময় ও অর্থ। পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের ধারা, ঘুচবে দুঃখ। ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র বলছে, হরিপুর ঘাটে তিস্তা নদীর ওপর ১ দশমিক ৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ সেতুটির নির্মাণের দায়িত্ব পায় চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে।

ভূমি অধিগ্রহণ, মূল সেতু, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, সম্প্রসারণ এবং নদী শাসনসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচ বাবদ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

২৯০টি পাইল, ১৫৫টি গার্ডার, ৩০টি পিলার, ২৮টি স্প্যান, সেতুর দুই পাশে ১ কিলোমিটার করে সংযোগ সড়ক এবং দেড় কিলোমিটার করে নদী শাসনের মাধ্যমে সেতুটির পূর্ণাঙ্গরূপ দিতে ব্যয় হবে ৩৬৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩৩ একর।

সেতুটির পূর্ব প্রান্তের সুন্দরগঞ্জ অংশের ২ কিলোমিটার সড়কসহ চিলমারী-ধর্মপুর-মন্ডলের হাট-লক্ষ্মীপুর-সাদুল্লাপুরের ধাপের হাট (ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক) পর্যন্ত, বেলকা-সুন্দরগঞ্জ এবং অন্যান্য লিংক সড়কসহ নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৮৪ কিলোমিটার সড়কপথ। এর মধ্যে ৫০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

বাকি ৩৪ কিলোমিটার সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করছে যথাক্রমে গাইবান্ধা ও সাদুল্লাপুর এলজিইডি। দীর্ঘ এ সড়কে বন্যার পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ১১-১২টি ব্রিজ এবং ৫৮টি বক্স কালভার্ট।

গত রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির ২৯০টি পাইলের মধ্যে বসানো হয়েছে ১৭৫টি, গার্ডার ১৫৫টির মধ্যে বসানো হয়েছে ৭৪টি এবং ৩০টি পিলারের মধ্যে এরই মধ্যে কাজ হয়েছে ১৪টির। ৩০টি পিলারের ওপর স্প্যান বসানো হবে ২৮টি। তার মধ্যে স্প্যান বসানো সম্পন্ন হয়েছে ৮টি এবং আরও ২টি স্প্যান আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সেতুর ওপর বসানো হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় এলজিইডি।

২০২৩ সালের জুন নাগাদ সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হতে পারে, যার ইতিবাচক ফল এরই মধ্যে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। দেখা যায়, সেতুর উভয় দিকে এরই মধ্যে পসরা সাজিয়ে বসেছে ৪০-৫০টি হরেকরকম দোকান। দোকানিরা জানালেন, সেতুটি হওয়ায় ভাগ্য ফিরেছে তাদের।

স্থানীয়রা বলছেন, যাতায়াত ও কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হবে। নিশ্চিত হবে ফসলের ন্যায্যমূল্য। নদী শাসন করায় কমবে নদী ভাঙন। বাড়বে এ অঞ্চলের শিক্ষার হার।

নির্মাণকাজ শেষে সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলে তা এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানের পুরো চিত্রই পাল্টে দেবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে উপজেলা প্রকৌশলী সামসুল আরেফিন খান বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৪০ ভাগ। কাজ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আশা করি আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণকাজ শেষ হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান বিরোধী নয় : হাইকোর্ট

আজ ৪৬তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা, যেসব নির্দেশনা মানতে হবে

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

২৬ এপ্রিল : নামাজের সময়সূচি

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

হাতি শুঁড় দিয়ে আছাড় মারল কৃষককে

বাবার বাড়ি যাওয়ায় স্ত্রীকে ২৭ কোপ দিলেন স্বামী

সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

ব্যারিস্টার খোকনের দলীয় পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি 

১০

বাড়ি ফেরা হলো না বাবা-ছেলের

১১

বাংলাদেশের দাবদাহ নিয়ে যা বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

১২

অনুষ্ঠিত হলো বিইউএইচএস -এর প্রথম সমাবর্তন

১৩

ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে : ম্যাখোঁ

১৪

ছেলেদের দোষে ডুবছেন মাহাথির মোহাম্মদ

১৫

হিজাব আইন না মানায় ইরানে ব্যাপক ধরপাকড়

১৬

তীব্র তাপপ্রবাহে বৃষ্টি চেয়ে হাজারো মুসল্লির কান্না

১৭

মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১৮

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

১৯

কারিগরির ফাঁকা সনদ মিলল তোষকের নিচে, গ্রেপ্তার কম্পিউটার অপারেটর

২০
*/ ?>
X