চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট) আসনের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহা. জিয়াউর রহমান বেসরকারিভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৯৪ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়েছেন। আজ বুধবার রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ফল ঘোষণা করেন এই আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, ১৮০টি ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহা. জিয়াউর রহমান পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৯২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৯৯ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, এই আসনে টেলিভিশন প্রতীকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত প্রার্থী মো. নবীউল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৩ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী খুরশিদ আলম বাচ্চু মাথাল প্রতীকে ১৪ হাজার ৩০৯, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ৩ হাজার ৬১ ও জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা গোলাপ ফুল প্রতীকে ১ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট) থেকে বিএনপির এমপি আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে উপনির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে প্রিসাইডিং অফিসার ১৮০ জন, ১ হাজার ২৩০ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ২ হাজার ৪৬০ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করেন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১ হাজার ১৭০ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ২৮০ জন। ১৮০টি কেন্দ্র এবং ১ হাজার ২৩০টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল ওদুদ। নৌকা প্রতীকে ৫৯ হাজার ৬৩৮ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) সামিউল হক লিটন আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৮০ ভোট। আর টেলিভিশন প্রতীকে ৪ হাজার ৪০ ভোট পেয়েছেন বিএনএফের দলীয় প্রার্থী কামরুজ্জামান খান।