টেন্ডার এক সড়কের, কিন্তু ঠিকাদার খুঁড়লেন অন্যটি। প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক খোঁড়ার পর টনক নড়ে ঠিকাদারের। ভুল বুঝতে পেরে কাজ থামিয়ে দেন সেখানেই। কিন্তু খুঁড়ে ফেলা ওই আধা কিলোমিটার সড়ক এখন চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলায় তিনটি প্রকল্পে দেড় কিলোমিটার সড়ক এইচবিবি করার জন্য ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় মইলাকান্দা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বাজার ঈদগাহ মাঠ থেকে উত্তরপাশে প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক এইচবিবি করার জন্য টেন্ডার হয়। নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় পলক-তমা এন্টারপ্রাইজ। গত ১৪ জানুয়ারি ঠিকাদার গোবিন্দপুর বাজার থেকে দক্ষিণপাশে গোবিন্দপুর-ষোলগাই সড়কের আধা কিলোমিটার সড়ক মাটি কেটে বক্স করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এক দিন পর ভুল সড়কে কাজের বিষয় বুঝতে পেরে খোঁড়াখুঁড়ি থামিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, মাটি কাটায় ওই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছে গোবিন্দপুর, ষোলগাই, সূর্যকোনা, ডেকুরা গ্রামের মানুষ। ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থী ও যানবাহন চালকরা। সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
মইলাকান্দা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শামছুল আলম বলেন, বছর দুয়েক আগে গ্রামবাসীরা প্রায় ৮ লাখ টাকা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে গোবিন্দপুর-ষোলগাই সড়কটি মেরামত করে। সম্প্রতি সড়কে সোলিং করার জন্য বক্স কাটায় গ্রামবাসীর মুখে হাসি ফুটেছিল। কিন্তু ঠিকাদারের ভুলে সেই হাসি মলিন হয়ে গেছে। সড়ক মেরামত করার বিষয়টি ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
ষোলগাই গ্রামের বাসিন্দা আশিকুর রহমান নয়ন বলেন, ষোলগাইসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। ঠিকাদার ভুল করে সড়কে বক্স কাটায় গর্ত ও ধুলাবালিতে জনদুর্ভোগ হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত না হলে বর্ষায় দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা পাপ্পু বলেন, সড়কটি মেরামত করে দিতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অসিত বরণ দেব বলেন, ভুল করে যে সড়কটিতে মাটি কাটা হয়েছে সেটি নির্মাণের জন্য এলজিইডি থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।