হবিগঞ্জের লাখাইয়ে আলীমুদ্দিন ভূইয়া নামে এক জীবিত ব্যক্তিকে মৃত সনদ দিয়ে তার বয়স্কভাতা অন্যজনের নামে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। এতে এক বছর ধরে তিনি বয়স্কভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলীমুদ্দিন ভূইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের মো. আলীমুদ্দিন ভূইয়া ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত বয়স্কভাতা উত্তোলন করে আসছেন। ২০২২ সালে নিজ নিজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বয়স্কভাতার টাকা প্রদান করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের জুলাই থেকে তার বয়স্কভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না।
সম্প্রতি তিনি বিষয়টি জানার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তার মৃত্যু হয়েছে মর্মে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুমান স্বাক্ষরিত একটি মৃত্যু সনদ দিয়ে তার বয়স্কভাতাটি অন্যজনের নামে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। একজন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত সাজিয়ে সনদ দেওয়ায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নোমান মিয়া বলেন, ‘আমি স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম তিনি মারা গেছেন, যে কারণে তার মৃত্যু তালিকা প্রদান করেছিলাম। কিন্তু এটি ভুলে হয়েছিল। পরবর্তীতে আমি জানতে পেরে বিষয়টি সংশোধন করে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে প্রেরণ করেছি।’
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফজালুর রহমান বলেন, ‘চেয়ারম্যানের দেওয়া তালিকায় আলীমুদ্দিন ভূইয়াকে মৃত দেওয়ায় আমরা অন্যজনকে বয়স্কভাতাটি স্থানান্তর করেছিলাম। কিন্তু বিষয়টি জানার পর আমরা তা সংশোধনের জন্য দিয়েছি। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তিনি ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলি না, আমার অফিসে যোগাযোগ করুন।’