নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীসহ তিন ডিজিটাল প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইটি কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়ে গোলাম রসুল (৬২) নামে এক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব থেকে ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কক্সবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার রিমান্ডের আবেদনসহ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বিষ্ণুপুর হক সাহেবের বাড়ির মো. ওবায়দুল হকের ছেলে আবদুল্লাহ আল মাসুদ (২২), একই গ্রামের কুরি বাড়ির বাবুল চন্দ্র কুরির ছেলে জীবন চন্দ্র কুরি (২৯) ও ফরিদপুরের মধুখালী থানার বনমালি দিয়া সিকদার বাড়ির মৃত ইব্রাহিম সিকদারের স্ত্রী সুইটি আক্তার (২৬)। তিনি বর্তমানে মাগুরা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দরিমাগুরা দোয়ারপাড় চুন্নু শেখের বাড়িতে বসবাস করেন।
গ্রেপ্তারের সময় মাসুদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইটি কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়পত্র, চারটি ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, মোবাইল অ্যাকাউন্টসহ তিনটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের তিনটি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইটি কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয় দিয়ে আসামি মাসুদ বেগমগঞ্জের দুর্গাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে গোলাম রসুলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। পরে সহযোগীদের নিয়ে কৌশলে প্রতারক মাসুদ ভুক্তভোগী রসুলের ইমেইলের পাসওয়ার্ড হ্যাক করেন। এরপর ওই ইমেইল ব্যবহার করে গত ২১ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত গোলাম রসুলের চৌমুহনী এবি ব্যাংকের হিসাব নম্বর থেকে বিকাশ, রকেট ও নগদের মাধ্যমে ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৭ টাকা আত্মসাত করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ভুক্তভোগী রসুলের দায়ের করা প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের মামলায় আসামিদের রিমান্ডের আবেদনসহ শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রিমান্ডে পেলে টাকা উদ্ধারসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাসুদের বিরুদ্ধে আগেও ঢাকার ভাটারা থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে।