বগুড়া-৪ কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনের উপনির্বাচনে আইনি লড়াই শেষে এখন সাতজন বৈধ প্রার্থী। সব প্রার্থীই প্রতীক বরাদ্দ পেলেও এখনো জমে উঠেনি নির্বাচনী প্রচার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এ আসনে উপনির্বাচনের জন্য মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে আলোচিত আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলমসহ পাঁচজন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরবর্তীতে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে হিরো আলমসহ তিনজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পান।
এ আসনের সাতজন প্রার্থীর মধ্যে দলীয় মনোনয়নে চারজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনজন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। আইনি লড়াইয়ের কারণে একটু বিলম্বে হিরো আলম প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি বরাবরই সিংহ প্রতীক নেওয়ার কথা বলে আসলে অবশেষে তার প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে একতারা।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহিন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙ্গল প্রতীক), জাকের পার্টির প্রার্থী (গোলাপ ফুল প্রতীক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. তাজউদ্দিন (ডাব প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান কাজল (ট্রাক প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (কুড়াল প্রতীক) ও আলোচিত হিরো আলম (একতারা প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করছেন।
এদিকে এ আসনে বড় দলের কোনো প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরও ২/১ জন প্রার্থীর পোস্টার ছাড়া বেশিরভাব প্রার্থীরই পোস্টার এখনো দেখা যায়নি নির্বাচনী এলাকায়।
নির্বাচনী প্রচার জমে না উঠলেও খুচরা দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে চায়ের আড্ডা, হোটেল-রেস্তোরাঁয় ও বিভিন্ন স্থানে আলাপ-আলোচনার কোনো কমতি নেই।