
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাদের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা যুক্ত ছিল, বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। তারা ব্যবহার করেছে অন্য ব্যানার। এটি মনিটরিং করা হয়েছে ঢাকা এবং লন্ডন থেকে।’
আজ রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর এবং বোদা উপজেলার শালশিরি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২, ৩ ও ৪ মার্চ যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে সেটি অত্যন্ত জঘন্য। এ হামলার আগে থেকেই উসকানি ছড়ানো হচ্ছিল- বাঁশেরকেল্লা, কাদিয়ানিবিরোধী ঐক্য পরিষদ, বিএনপির সাবেক এমপি রুমিন ফারহানা এবং হারুন অর রশিদের পেজ থেকেও উসকানি ছড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এরা আহমদিয়াদের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতেও হামলা করেছে। ডিসি অফিস, এসপি অফিস এবং থানায় হামলার চেষ্টা করেছে। র্যাবের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, ট্রাফিক অফিসে আগুন দিয়েছে এবং শহরের দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করা হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় আহমদিয়াদের জলসাকে কেন্দ্র করে হামলা করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা এবং লন্ডন থেকে মনিটর করে পঞ্চগড়ে গন্ডগোল লাগিয়ে সারা দেশে গন্ডগোল লাগানোর একটা উদ্দেশ্য তাদের ছিল। আমরা পুলিশ-প্রশাসনকে বলেছি, যে বা যারাই এটার সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন; কোন দল বা কোন রং সেটা না দেখে ব্যবস্থা নিতে। সে মতেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তা, পঞ্চগড় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন প্রমুখ।
গত ৩ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।