জয়পুরহাটে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে পাঁচ বিয়ে করে টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূল হোতা মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় পাঁচ ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয়।
আজ শুক্রবার ভোরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোস্তফা জামান এ তথ্য জানান। মেহেদী হাসান জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাঞ্চাতীপাড়া কেন্দুলী গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০ জানুয়ারি সদর উপজেলার জামালপুর গ্রামের মেহেদী হাসানের পঞ্চম স্ত্রী জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন, তার স্বামী মেহেদী হাসানসহ লতিফ (২৫) ও মিন্টু হোসেন (২৪) নিজেদের ঠিকাদার, ইজারাদার ও বিত্তশালী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিয়ে করেন। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। পরে অন্য এলাকায় গিয়ে একই কাজ করেন তারা।
মেজর মোস্তফা জামান জানান, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের ভাই, আত্মীয় বা সাক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কাজ করতেন। অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাব-৫ ক্যাম্প থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করা হয় এবং ঘটনার সত্যতা পায়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত অভিযোগকারী নারীর ভাই র্যাব ক্যাম্পে ফোন দিয়ে বলেন, সহযোগীদের নিয়ে মেহেদী তার শ্বশুরবাড়িতে জয়পুরহাট সদর থানাধীন জামালপুর এলাকায় তার বোন, ভাগ্নে ও মাকে আটকে রেখে নির্যাতন করছেন। এরপর র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। এ সময় প্রতারক চক্রের অন্য দুই সদস্য লতিফ ও মিন্টু পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা হয়েছে।