পদ্মা নদীতে পানি হ্রাস পাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ডুবোচর। এ জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের চারটি ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ড্রেজিং মেশিন দিয়ে পলিমাটি অপসারণ করে আপাতত তিনটি লঞ্চ ও ফেরি রুট চালু রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ।
লাটার জাহাজের কর্মচারী আবদুল আজিজের অভিযোগ, পদ্মায় পানি কমে যাওয়ায় রাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ফেরি। রো রো ফেরিতে পাইলট থাকার নিয়ম থাকলেও কোনো পাইলট পাঠাচ্ছে না বিআইডব্লিউটিএ। ফলে এই রুটে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ফেরি।
দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিএর টিও মো.সালাউদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে পদ্মা নদীর ভাঙনের ফলে ৭, ৪ ও ৩ নম্বর ফেরিঘাট চালু রয়েছে। অবশিষ্ট চারটি ফেরিঘাট কবে চালু হবে, তা কেউ বলতে পারছে না। এর ফলে বিভিন্ন জেলা থেকে সার, সিমেন্ট, তেল প্রভৃতি মালামাল বোঝাই কার্গো জাহাজের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পদ্মা নদীতে পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ঘাটের অদূরে ছোট ট্রলারে করে মালামাল আনলোড করা হচ্ছে। এসব মালামাল কয়েক দফা আনলোডের ফলে জাহাজের ভাড়া বাড়ছে। এ কারণে এসব জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে জাহাজের কর্মচারীদের অভিযোগ, জাহাজে মালামাল পরিবহনের ওপর টোল আদায় করার জন্য টেন্ডারে ঠিকাদার নিয়োগ দেয় বিআইডব্লিউটিএ। তবে টোলের টাকা না দিলে জাহাজের কর্মীদের ওপর নির্যাতন করে ঠিকাদাররা। টোল আদায়ের নিয়মের কোনো সাইনবোর্ডও ঘাট এলাকায় টানানো হয়নি। বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করা হচ্ছে।
চলতি বছর থেকে আরিচা বন্দরের বিআইডব্লিউটিএর পোর্ট অফিসার এস এম সাজ্জাদুর রহমান জানান, জাহাজে মালামাল পরিবহনের ওপর বিআইডব্লিউটিএ টোল আদায় করছে। তবে টনপ্রতি কী পরিমাণ টোল ধার্য করা হয়েছে, তা তিনি জানাননি।
এ বিষয়ে তিনি জানান, পদ্মা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে নৌপথ সচল রাখার জন্য চলতি বছর টোল আদায়ের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।