প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ দায়িত্বপ্রাপ্তরা

পাবনায় উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।
পাবনায় উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।ছবি : কালবেলা

পাবনায় উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে আয়োজিত প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পাওনা অর্থের দাবিতে ট্রেনিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষকরা। পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ভুল স্বীকার করে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

গতকাল শনিবার পাবনা শহরের রাঘবপুরের শহীদ আহম্মদ রফিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেনিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, সারা দেশেই এই প্রশিক্ষণ চলছে। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ছয় দিনের ট্রেনিং শুরু হয়ে আজকে শেষ হয়েছে। এতে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ থেকে ৩২৪ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। ট্রেনিং শেষে সিরাজগঞ্জের শিক্ষকদের ১১ হাজার ৪৭০ টাকা করে সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়। তবে সিরাজগঞ্জে ট্রেনিং নেওয়া পাবনার শিক্ষকদের ১৩ হাজার ৮৮০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রেনিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের জানালে তারা শিক্ষকদের নানা হুমকি দেন। পরে ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য তাদের অবরুদ্ধ করা হয়। 

তারা আরও বলেন, প্রশিক্ষণ চলাকালীন শিক্ষকদের খাবারের জন্য ৪৫০ টাকা করে বরাদ্দ করা থাকলেও নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়েছে তাদের।

এদিন বিকেলে প্রশিক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোস্তম আলী হেলালী। এ সময় নিজেদের ভুল স্বীকার করে শিক্ষকদের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেন তিনি। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে তাদের এ বিষয়ে নিউজ না করারও অনুরোধ জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। 

তিনি বলেন, ‘আসলে এখানে আমাদের একটু ভুল হয়েছে। আমরা শুধু যাওয়ার ভাড়া ধরেছিলাম। শিক্ষা অধিদপ্তরের থেকে আমাদের প্রথমে এটিই জানানো হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার রাতে আমাদের মেসেজ দেওয়া হয়েছে যে আসা-যাওয়ার ভাড়া দিতে হবে। তবে তার এই মেসেজ আমরা দেখিনি। এ জন্য এমনটা হয়েছে। কোনো টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়নি।’ 

এ ছাড়া শিক্ষকদের হয়রানি ও হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন পাবনা জেলা প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান খান ও জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম সামিউল ইসলাম। 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com