মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বাস খাদে পড়ে ১৯ জন নিহতের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার জন্য তিনটি কারণ উদ্ঘাটন করেছেন তারা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তারা এ প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান পল্লব কুমার হাজরা জানান, দুর্ঘটনার পর তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, বাসটির নিহত চালক, হেলপার ও সুপারভাইজরের পরিবারের সদস্য এবং মালিকপক্ষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসের নিবন্ধন সাময়িক স্থগিত ছিল। এর ফিটনেসের মেয়াদও ছিল না। এরপরও এক্সপ্রেসওয়েতে চালানো, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স না থাকা এবং বৃষ্টিজনিত কারণে পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।
পল্লব কুমার হাজরা আরও বলেন, ‘হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি খুব দ্রুতগতিতে চলাচল করে। তাই এ সড়কে দুর্ঘটনা বন্ধে দ্রুতগতিসম্পন্ন গাড়ির যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধান নিশ্চিত, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি, প্রতিটি গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার রাখা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অনলাইনে মনিটরিং করার ব্যবস্থা রাখাসহ ১৪টি সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ১৯ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ১৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিল।