
মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হয়েছে। মারা যাওয়া দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে দুজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে তাদের মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। লাশ দুটি কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন এখন এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এতে বাসটি রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ২০ হাজার টাকা ও আহত যাত্রীদের ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনা নিহতের মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে তারা হলেন- গোপালগঞ্জের ত্রিনদী রঞ্জন মন্ডল (৫০), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মো. আমজাদ আলীর ছেলে মাসুদ মিয়া (৩২), খুলনার সোনাডাঙ্গার শেখ আহমদ মিয়ার ছেলে শেখ আব্দুল আল মামুন (৪০), গোপালগঞ্জ সদরের মো. হেদায়েত মিয়া (৪৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত (ইংরেজি) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদরের মাসুদ মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার (২০), লোহাগাড়া নড়াইলের বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৫০), গোপালগঞ্জ সদরের মাসুম মিয়ার পুত্র মোস্তাক শেখ (৪০), টুংগীপাড়া গোপালগঞ্জের মো. কাঞ্চন শেখের ছেলে শেখ কবির হোসেন (৫৫), ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্সে অধ্যয়নরত গোপালগঞ্জ সদরের আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি (২৪), সজীব (২৬) পিতা- নওশাদ শেখ গোপালগঞ্জ, এবং মোহাম্মদ ইসমাইল পিতা শহীদ মুরাদ আলি, আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর। বাকিদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।