গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাবদ্ধ নিজ বসতঘর থেকে মা ও শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের এক মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত (ঝিরুনডি) এলাকা থেকে আসামি রহমত উল্লাহকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৩ জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতে রুবিনা আক্তার (২২) নামে এক নারীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন প্রতিবেশী রং মিস্ত্রি রহমত। এ সময় রুবিনার শিশুপুত্র জিহাদ (৫) চিৎকার শুরু করলে রহমত তাকে গলা চেপে হত্যা করেন। একপর্যায়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে রুবিনাকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। মা ও ছেলেকে হত্যার পর রহমত ঘরে তালা মেরে লাশ দুটি রেখে পালিয়ে যান। রহমত এ সময় রুবিনার মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান। এরপর গত ৭ জানুয়ারি পুলিশ গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
আজ শুক্রবার শ্রীপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন এ তথ্য জানান। মামলার তদন্তকারী উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলা থেকে নিহতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রহমতের অবস্থান ও খুনের বিষয়ে জানা যায়। এরপর স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের দালালেরা বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকায় রহমতকে পৌঁছে দেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছেন রহমত।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রীপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৫টায় শ্রীপুরে নিজ বাড়ির তালাবদ্ধ ঘরে থেকে পুলিশ মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।