শস্যভাণ্ডার খ্যাত নওগাঁর মাঠগুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে সরিষা ফুল। ভালো ফলনের আশায় সেখানের একাধিক উপজেলার কৃষকরা রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারাও।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সরিষাচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশির ভাগ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এ ছাড়া আগাম জাতের সরিষায় ফুল আসাও শুরু করেছে।
আত্রাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ১০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১ হাজার বক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করছেন মৌয়ালরা।
সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে আসা মৌয়াল আমিরুল ইসলাম জানান, এই সরিষার জমিতে তারা দেড় মাস মধু সংগ্রহ করবেন।
আরেক মৌয়াল আমিরুল ইসলাম জানান, প্রতি সপ্তাহে একেকটি বক্স থেকে ৫ থেকে ৮ কেজি মধু পাওয়া যায়। এভাবে সব বক্স থেকে সপ্তাহে ১০ থেকে ১২ মণ মধু সংগ্রহ করে থাকেন তারা।
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী বলেন, ‘সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির চাষ হলে সরিষার ফলন ১০ ভাগ বেড়ে যায়। তাই সরিষার ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া সরিষা ক্ষেত থেকে বিনা খরচে মধু সংগ্রহ লাভজনক ব্যবসা। এতে মৌমাছি ব্যবসায়ী যেমন একদিকে মধু বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে ক্ষেতে মধু চাষ করায় সরিষার ফলনও বাড়ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে এম কাউছার হোসেন জানান, এবারে আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। যথাসময়ে জমি চাষযোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।