খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১০:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সহকারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সহকারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেছেন এক নারী। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী। তিনি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ছিলেন। মামলায় ধর্ষণের ঘটনায় উপাচার্যের সহযোগী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য শহীদুর রহমান খান বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম তলায় অফিস ও বাসা নিয়ে থাকতেন। খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার তখন ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। আনোয়ারের নির্দেশে প্রতিদিন উপাচার্যের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে হতো ওই নারীকে। এ সুযোগে উপাচার্য তাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিতেন। তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতেনও। এ ছাড়া চাকরিতে উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিতেন; পাশাপাশি চাকরির ভয়ও দেখাতেন।

একপর্যায়ে প্রলুব্ধ করে ওই নারীকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অফিস কক্ষেই ধর্ষণ করেন শহীদুর রহমান। এ ঘটনার পর আসামিরা চাকরি যাওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করেন। তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে শহীদুর রহমানের সঙ্গেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ঘটনার ধারাবাহিকতায় স্ট্যাম্পে তাকে বিয়ে করার একটি অঙ্গীকারনামা লিখে দেন শহীদুর রহমান। আসামিদের পরামর্শে পরে স্বামীকে তালাকও দেন ওই কর্মচারী। এরপর বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর সঙ্গে মেলামেশা করতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত খুলনা থেকে বদলি হয়ে যান শহীদুর রহমান এবং তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বিষয়টি সোনাডাঙ্গা থানায় জানানো হলেও তারা কোনো গুরুত্ব দেয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি আদালতের দারস্থ হন।

ওই নারী বলেন, ২০২০ সালে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। ২০২১ সালে কন্ট্রোলার হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর থেকেই তৎকালীন উপাচার্য তাকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করতে থাকেন। পরে ২০২২ এর মার্চে তাকে পিএ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স দেওয়ানো হয়েছে। সারা দেশে ঘুরিয়েছে। আমার একটা বাচ্চা আছে। আমি ওনাকে বলেছি মামলা করার বিষয়টি। তার উত্তরে জানানো হয়েছে যা পারো করো।’

মামলার স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘ভুক্তভোগী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ। তাকে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ মামলা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করি।’

এ বিষয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত হচ্ছে। চাকরির সুবাদে সাবেক ভিসি কী করেছেন সেটি আমার জানার বিষয় না।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান বিরোধী নয় : হাইকোর্ট

আজ ৪৬তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা, যেসব নির্দেশনা মানতে হবে

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

২৬ এপ্রিল : নামাজের সময়সূচি

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

হাতি শুঁড় দিয়ে আছাড় মারল কৃষককে

বাবার বাড়ি যাওয়ায় স্ত্রীকে ২৭ কোপ দিলেন স্বামী

সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

ব্যারিস্টার খোকনের দলীয় পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি 

বাড়ি ফেরা হলো না বাবা-ছেলের

১০

বাংলাদেশের দাবদাহ নিয়ে যা বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

১১

অনুষ্ঠিত হলো বিইউএইচএস -এর প্রথম সমাবর্তন

১২

ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে : ম্যাখোঁ

১৩

ছেলেদের দোষে ডুবছেন মাহাথির মোহাম্মদ

১৪

হিজাব আইন না মানায় ইরানে ব্যাপক ধরপাকড়

১৫

তীব্র তাপপ্রবাহে বৃষ্টি চেয়ে হাজারো মুসল্লির কান্না

১৬

মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১৭

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

১৮

কারিগরির ফাঁকা সনদ মিলল তোষকের নিচে, গ্রেপ্তার কম্পিউটার অপারেটর

১৯

ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

২০
*/ ?>
X