কিশোরগঞ্জে রিকশাচালক মো. শামীমকে (২২) পুড়িয়ে হত্যা মামলায় শফিকুল ইসলাম (২৮) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। আজ বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে ১০ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের আমাটি শিবপুর এলাকায় গাঁজা খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আবির হোসেন জনি, মো. মন্নাফের ছেলে মো. আল আমিন, মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম ও মো. লাল মিয়ার ছেলে মো. সাজনের সঙ্গে মারপিট হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন সন্ধ্যায় রিকশা চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা আমাটি শিবপুর এলাকায় শামীমের পথরোধ করে মারপিট শেষে একপর্যায়ে হাত-পা বেঁধে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শামীমের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার অবনতি হওয়ায় পরের দিন ১১ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকেই ঢাকায় নেওয়ার পথে জেলার ভৈরব উপজেলার কালিকা প্রসাদ এলাকায় পৌঁছালে শামীম মারা যায়।
ওইদিন শামীমের চাচা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) মোহাম্মদ আহসান হাবীব ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে বাকি তিন আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। শুরু থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। মামলায় আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট লুৎফর রশিদ রানা ও রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জীবন কুমার রায় মামলা পরিচালনা করেন।