কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দরে নোঙর করেছে প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। নাব্য সংকটে বন্দরতীরে ভিড়তে না পারলেও বন্দরের কাছাকাছি ব্রহ্মপুত্র নদীতে অবস্থান করছে নৌযানটি।
জানা গেছে, বাহাদুরবাদ থেকে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় চিলমারীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে গঙ্গা বিলাস। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে নৌযানটি নোঙর করে চিলমারী নদীবন্দর এলাকায়।
গঙ্গা বিলাসে চেপে গত ১৩ জানুয়ারি ভারতের বারানসি থেকে ২৮ জনের দর্শনার্থী দল যাত্রা শুরু করে। তাদের মধ্যে ২৭ জন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক। একজন জার্মানির। ৪১ জন ক্রুসহ তারা প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাসে চেপে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় পর্যটকরা প্রমোদতরী থেকে বোটে করে চিলমারী নদীবন্দরের রমনা ঘাটে পৌঁছায়। সেখানে কিছু সময় নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
পর্যটকদের জেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেভিনিউ উত্তম কুমার, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান, চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. আছমা বেগম প্রমুখ।
আজ বিকেল পর্যন্ত প্রমোদতরীর পর্যটকরা রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। শেষে চিলমারী ফিরে গঙ্গা বিলাসে রাত্রিযাপন করবেন। আগামীকাল সকালে চিলমারী থেকে ভারতের ধুবরির উদ্দেশে রওনা হবে প্রমোদতরীটি।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসি থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত নদীপথে মোট ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দেবে প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস। নৌযানটির বিলাসবহুল কামরায় সুইজারল্যান্ডের ২৭ জন ও জার্মানির একজন ভ্রমণ করছেন। এ যাত্রাপথে সময় লাগবে ৫১ দিন।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গঙ্গা বিলাস যাত্রারত পর্যটকদের ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’