
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়া ধরার পর উত্তর দিতে না পারায় শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। গত সোমবার উপজেলার গোমতি বিরেন্দ্র কিশোর (বিকে) উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার ওই বিদ্যালয় চলাকালে হঠাৎই পেছনের দরজা দিয়ে সপ্তম শ্রেণির ক্লাসে ঢুকে পড়েন গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন। এ সময় তিনি ইংরেজি পাঠ্যবই থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন শিক্ষার্থীদের এবং রিডিং পড়তে বলেন। শিক্ষার্থীরা কোনো উত্তর না দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকায় শ্রেণিশিক্ষককে বেত আনতে বলেন চেয়ারম্যান। এ সময় ওই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে বেতের ব্যবহার নিষিদ্ধ জানিয়ে বেত নেই বললে চেয়ারম্যান রেগে বাঁশের কঞ্চি আনতে বলেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক কঞ্চি এনে দিলে চেয়ারম্যান তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পেটান।
চেয়ারম্যানের হাতে মার খাওয়ার কথা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে ওই শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এদিকে, ঘটনাটিকে অপ্রত্যাশিত উল্লেখ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্বানুমতি ছাড়া চেয়ারম্যান শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। উত্তর দিতে না পারায় তাদের বেত্রাঘাত করেছেন তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি দাপ্তরিক কাজে উপজেলা সদরে ছিলাম। বিদ্যালয়ে ফিরে ঘটনা জানতে পারি।’
শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই থেকে প্রশ্ন করা হলে তারা কোনো উত্তর না দেওয়ায় মেজাজ হারিয়ে তাদের কঞ্চি দিয়ে পেটানোর কথা স্বীকার করে গোমতি ইউপি চেয়ারম্যান তফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নেই আমি মাঝে মাঝে শ্রেণি কার্যক্রম তদারকি করে থাকি।’
শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী।