গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির চলমান আন্দোলন সফলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পঞ্চম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি। দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বেগম জিয়া।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত সংগ্রাম চলছে। ইনশাল্লাহ এই সংগ্রাম সফলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। অগণতান্ত্রিক-গণবিরোধী সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়ার ওপর নির্মম-নিষ্ঠুর জুলুম নেমে এসেছে। অপরাধ না করেও ফ্যাসিবাদী সরকার বেগম জিয়াকে হেয়প্রতিপন্ন ও জনমতকে বিভ্রান্ত করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। জনগণ জানেন ও বিশ্বাস করেন—তাদের প্রিয় নেত্রী কোনো অপরাধ করেননি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে অন্যায়ভাবে আটক রেখেছে। বন্দি থাকাবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে তার অসুস্থতা আরও তীব্র হয় এবং তার জীবন হুমকির মুখে পড়ে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে। সেই আন্দোলনকেও দমন করতে সরকার নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায়। দেশ-বিদেশে সর্বত্র বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি সোচ্চার হয়। আইনিভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি। আইনি লড়াই করতে বিদেশ থেকে আইনজীবী আসতে চাইলেও সরকারের আপত্তির কারণে তাকে আসতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে শর্তসাপেক্ষে সরকার তার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে প্রকারান্তরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। মির্জা ফখরুল অবিলম্বে বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।