চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে এবার হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই প্রাক-নিবন্ধন করেও শেষ পর্যন্ত হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছয় দফা সময় বাড়িয়েও নিবন্ধনের কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার নিবন্ধনের শেষ দিন পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৯৩৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৮ হাজার ৩৫০ জন নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ সর্বমোট ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮৫ জন নিবন্ধন করেছেন। ফলে কোটা পেয়েও ৮ হাজার ৯১৩ জন কম হজযাত্রী হজে যাচ্ছেন। কারণ আজ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন কালবেলাকে বলেন, হজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সৌদি আরবে গেছেন। নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে। সময় আর বাড়ানো হবে কিনা তা এখনো জানতে পারিনি।
চলতি বছরের হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২১ মে। ওইদিন রাত পৌনে ৪টায় প্রথম হজ ফ্লাইট হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে। বিমানের প্রথম ফ্লাইট বিজি-৩০০১ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে এবং ফ্লাইটটি জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় ২২ মে সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে। আর ২২ জুন বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম জানান, মোট হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ বিমান পরিবহন করবে। হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, এবারের প্রি-হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ১১৬টি, ঢাকা-মদিনা রুটে ২০টি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৪টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ৬টি, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে ২টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।