২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ শনিবার দিবসটি উপলক্ষে বিজিবির কর্মসূচি অনুযায়ী, ফজরের পর থেকে জোহরের নামাজের আগ পর্যন্ত শহীদদের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের মসজিদে খতমে কোরআনের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিজিবির সব স্থাপনায় রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করেন।
এদিন সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানরা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক ও শহীদদের কাছে আত্মীয়দের প্রতিনিধিরা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ ছাড়া আসরের পর পিলখানার বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সব মসজিদে এবং মাগরিবের পর বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের সব মসজিদ ও বিওপি পর্যায়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রিত অতিথি, শহীদদের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
মিলাদ মাহফিল শেষে উপস্থিত শহীদদের নিকটাত্মীয়দের সাথে বিজিবি মহাপরিচালক কুশল বিনিময় করেন এবং খোঁজ-খবর নেন। এ ছাড়া শহীদদের পরিবার কর্তৃক মিরপুর ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ মাগরিব আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিজিবির মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।