সময়ের ঘূর্ণনে পৃথিবীর কোথাও আলোকিত হচ্ছে আগমনী ঊষার রশ্মিতে, ঠিক একই সময়ে কোথাওবা সন্ধ্যের আলো নিকষকালো হচ্ছে ধীর লয়ে।
সময়ের কাঁটায় সারা রাত জেগে, তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে কেউ আয়াসী বিছানা খোঁজে, স্রষ্টার আহ্বানের সাড়ায় অন্য ঘর থেকে কেউবা বিছানা ছেড়ে প্রার্থনার পথে।
সময়-লণ্ঠনের আলোকচ্ছটায় প্রতিনিয়তই আলোকিত হচ্ছে মনে-দেহে-প্রাণে, বলগাহীন সময়কে মুঠোবন্দি করার প্রয়াই চুপি চুপি থাকলেও, বাস্তবতা যায় উবে। ক্ষেপাটে ঘোড়ায় সওয়ারী সময়, ‘ওহে! সময়, খানিকক্ষণ কি জিরোবে তোমার স্বস্তিতে?’
‘নহে, জিরোবার ক্ষণ কি আর আছে? যেতে হবে বহুদূরের তেপান্তরের ওই দেশে!’ অধুনা প্রযুক্তিতে সময়কে প্রায় বেঁধেছে গণ্ডি-সীমানা-দেশ ছাপিয়ে, তাৎক্ষণিকতার বলয়ে, কিন্তু হায়! ওই প্রযুক্তিবিদগণরাও হয়তো প্রহর গুনে ‘শূণ্য সময়’র অঘটনের সম্ভাবনার ঝুঁকিতে।
তারপরেও সময়ের বন্দনা উদযাপিত হচ্ছে সগৌরবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় রীতিতে, বিবেকে-আবেগে-প্রদর্শনের চিত্রে সময়ের ধারাকে জাগ্রত রেখে, এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে।
সময়ের ঘর্ষণে প্রতেক জীবনের শিলালিপিই অবশ্যই যাবে ক্ষয়ে, সময়ের দাবিতে জীবনের ওই অসময়ের গল্পগুলো কেবলই স্বাক্ষী রবে নিভৃতে কিংবা একান্ত আড়ালে।
.
[কবি ম. রাশেদুল হাসান খান জগন্নাথ বিশ্বদ্যিালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স’ বিষয়ে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘তথ্যপ্রযুক্তি’ বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন তিনি। কবি পেশাগত জীবনে একজন ব্যাংকার; বর্তমানে তিনি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ফার্স্ট এসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।]
মন্তব্য করুন