বৈষম্য-হুমকি-অনাচার কিংবা পদস্খলনের অসহনীয় নিষ্পেষণে সূত্রপাত স্বাধীনতার
ভয়-জয়ের উত্তালে ক্রমশ: শুরু হয় পরাধীনতার শিকল ভাঙার। তাইতো ধীরলয়ে আঁচ করতে হয় তমসাচ্ছন্ন ‘কালোরাত্রি’র অনাহুত পলেস্তারা- আঁধার কেটে রক্তিম আলোকছটায় তবেই উদ্ভাসিত হয় ‘স্বাধীনতা’র পসরা।
ক্রমাগত নতজানু অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সামাজিক
পরাধীনতার শিকলের ঝংকারের ছন্দের নিঃশব্দ সুরে রচিত হয় মুক্তির গান।
সময়ের চাপে, শিকল ভাঙার মুক্তির গানের কোরাসে,
বজ্রকণ্ঠ-বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নির্দেশে ‘স্বাধীনতা’ আনে মাথা উঁচুর তাগিদে।
রাজনৈতিক-ধর্মীয় ঘোরটোপের আবদ্ধ প্রাচীর পেরিয়ে,
ঠিক যেন, লালপেড়ে শাড়ীতে কিশোরী দখিনা হাওয়ায় সবুজ ধানের সঙ্গে দুলে।
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে বাক স্বাধীকারের অর্জন পূরণে,
সামাজিক-রাজনৈতিক-আঞ্চলিক দর্শনও প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দাঁড়ায় কারণে-অকারণে।
পথিক হিসেবে পথ চলতে কতটা স্বাধীনতায় অগ্রসর হলে,
মানবে তুমি শেষে, বড্ড বেশী স্বাধীনতায় প্রত্যাশিত গন্তব্য হারিয়েছ অবশেষে!
[কবি ম. রাশেদুল হাসান খান পেশাগত জীবনে একজন ব্যাংকার; বর্তমানে তিনি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ফার্স্ট অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।]
মন্তব্য করুন